Posts

Showing posts from April, 2021

মাহে রমজান ও দাওয়াতী কাজ৷

রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস। রমজান মাস কুরআন বিজয়েরও মাস। ২য় হিজরীর ১৭ রমজান বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেই যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সা.-এর নেতৃত্বে ৩১৩ জন মর্দে মুজাহিদ সাহাবায়ে কেরাম রেদওয়ানুল্লাহি তায়ালা আজমাইন এক হাজারের অধিক কাফির বাহিনীকে পরাজিত করে দীনের ঝান্ডাকে বুলন্দ করেন। ৮ম হিজরীতে দশ হাজারের অধিক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সা.-এর নেতৃত্বে মক্কা অভিযান পরিচালনা করে বিনা যুদ্ধে মক্কা বিজয় করেন। তাই এই পবিত্র রমজান মাসে কুরআনকে বিজয়ী করার স্বপ্ন নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ব্যাপকভাবে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর অন্তর্ভুক্ত কাজ নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করতে হবে। বদর ও মক্কা বিজয় থেকে আমরা সেটাই উপলব্ধি করতে পারি। ১. রমজানে দাওয়াতী কাজ ইসলাম প্রচার ও প্রসারের মূল মাধ্যমই হচ্ছে দাওয়াত ইলাল্লাহর কাজ। দাওয়াতের জন্য কথা বলাকে মহান আল্লাহ সবচাইতে উত্তম কথা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেই ব্যক্তির কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম হবে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, সৎকাজ করলো এবং ঘোষণা করলো আমি মুসলমান। (সূরা হামীম আস সাজদা : ৩৩)। সকল নবী-রাসূলের মিশন ছিল দাওয়াত। শেষ নবী মুহাম্মদ সা.-কে মহান আল্লাহ তায়ালা দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে পর

রমাদান ঈমানদারদের জন্য প্রশিক্ষণের মাস৷

মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টি করে তাদের চলার পথ দেখিয়েছেন। ভালো ও মন্দের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ভালোর ফল নিয়ামতভরা সীমাহীন জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আর মন্দের ফল আগুনেভরা সীমাহীন জাহান্নামের খবর জানিয়েছেন। মানবজাতির জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল সা.-গণকে পাঠিয়ে আল্লাহ তায়ালা বাস্তব জীবনে জান্নাতের পথনির্দেশনা দিয়েছেন। আর জাহান্নামেরও অশুভ খবর জানিয়েছেন। আজকের জীবনেও বিজ্ঞানের মহা আবিষ্কারের পরও আল্লাহর পাঠানো শেষ নবী সা. ও সর্বশেষ মহাগ্রন্থ আল কুরআন আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ সিলসিলা চালু থাকবে। আমাদের সামনে বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমাদান আল্লাহর বান্দাদের জন্য গুনাহ মাফ ও জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে হাজির হয়েছে। আমরা যারা মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে, তারই দেয়া জীবনবিধান অনুসরণ করে মহানবী সা.-এর দেখানো দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিজে চলতে চাই, অন্যকেও চলার আহ্বান জানাতে চাই। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা মুমিনুনে মুমিনদের সফলকামের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যাতে তারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা তার শেষ নবী মুহাম্মদ সা.-কে মিরাজে নিয়ে আম

ইসলামের সোনালি যুগে নারীর পেশা

ইসলাম ও ইসলামী সমাজে নারীর অবস্থান এবং মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেন অনেকেই। কিন্তু ইসলামের সোনালি যুগের ইতিহাসে নারীর ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান বিশ্লেষণ করলে তাদের এ দাবির সত্যতা মেলে না। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগ থেকে সহস্র বছরের ইসলামী খিলাফতের যুগে নারী জ্ঞানচর্চা থেকে শুরু করে যে আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ভোগ করেছে তা আধুনিক যুগেও অপ্রতুল। এ সময় তারা বিভিন্ন পেশায় পুরুষের মতো যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দেন। তবে হ্যাঁ, পর্দা-শালীনতা ও ইসলামের ধর্মীয় ও সামাজিক বিধান-রীতি মান্য করেই তারা তা করেছেন। জ্ঞানচর্চায় নারী: মহানবী (সা.) নানাভাবে নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করেন। তিনি মদিনার আনসারি নারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আনসারি নারীরা কতই না উত্তম! লজ্জা কখনোই তাদের ধর্মের বিষয়ে জ্ঞানান্বেষণে বিরত রাখতে পারে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৭২)। মুসলিম নারীদের আবেদনের প্রেক্ষাপটে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের দীন শেখানোর জন্য পৃথক দিন নির্ধারণ করেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নারীরা একবার নবী (সা.)-কে বললেন, ‘পুরুষরা আপনার কাছে আমাদের চেয়ে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। তাই আপনি