উত্তম কথা ব্যতীত অন্য কথা হতে জবানকে হেফাজত করা৷
প্রতিটি দীনদার পরহেজগার ব্যক্তির জন্যই সকল বিষয়ে নিজের জিহবা এবং ভাষার ব্যবহারকে সংযত রাখা অত্যন্ত জরুরি৷ শুধু কল্যাণকর বিষয়েই তার ব্যবহার হতে পারে৷ এমনকি কল্যাণলাভের বিচারে যদি কথা বলা বা না-বলা উভয়ই সমান হয়, তবে সে ক্ষেত্রেও নীরব থাকা সুন্নাত৷ কেননা, সাভাবিক জায়েজ কতাবার্তাও ক্ষেত্রবিশেষে মানুষকে মাকরুহ ও হারামের দিকে ধাবিত করার আশঙ্কা রাখে৷ বরং অভ্যাসবশত অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুলের আশঙ্কাই প্রবল৷ আর তখন কোনো কিছুই শান্তি বয়ে আনতে পারে না৷
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ-দিবসের প্রতি ঈমান এনেছে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে৷ (সহি বুখারী: হাদিস নাম্বার ৬১৩৬) (সহি মুসলিম: হাদিস নাম্বার ৪৭)
হযরত আবু মুসা আশআরী(রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন মুসলমান উত্তম? তিনি বললেন, যার জিহবা ও হাত হতে অন্য মুসলমান নিরাপদ৷
(সহি বুখারী: হাদিস নাম্বার ১১)
(সহি মুসলিম: হাদিস নাম্বার ৬৫,৬৬)
হযরত সাহল বিন সাদ(রাঃ) রাসুল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য দুই চোয়াল আর দুই রানের মধ্যবর্তি বস্তুুর (জিহবা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের দায়িত্ব নেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেব৷
(সহি বুখারী:হাদিস নাম্বার ৬৪৭৪)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
তোমরা আল্লাহু তা আলার জিকির ব্যতীত অন্য কথা বেশি বোলো না৷
কেননা, আল্লাহুর জিকির ব্যতীত অন্য কথার আধিক্য মূলত অন্তরের কাঠিন্য
(এর কারণ হয়)৷ আর মানুষের মধ্যে কঠোর লোকেরাই আল্লাহু থেকে বেশি দুরের হয়৷
(সহি তিরমিজি: হাদিস নাম্বার ২৪১১)
হযরত উকবা বিন আমের (রাঃ) বলেন,
আমি বললাম, হে আল্লাহুর রাসুল (সাঃ) মুক্তি কিসের মধ্যে?
তিনি বললেন, নিজের জিহবাকে সংযত রাখো, তোমার ঘর যেন তোমার জন্য প্রশস্ত হয় (বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেয়ো না)
আর নিজের ভুলের জন্য ক্রন্দন করো৷
(সহি তিরমিজি : হাদিস নাম্বার ২৪০৬)
প্রিয় মুসলিম ভাইরা মহান আল্লাহু তা আলার দরবারে দোয়া করি, যেন আমাদের সুন্দরভাবে কথা বলার সেই তাওফিক দান করেন আমিন৷
Comments
Post a Comment